তাওয়াফের সময় পড়ার দোয়া ও যিকির
তাওয়াফের সময় রাসূলুল্লাহ (সা.) থেকে নির্দিষ্ট কিছু দোয়া বর্ণিত হয়েছে।
তবে প্রতিটি চক্করের জন্য আলাদা দোয়া নির্ধারিত নয়। তাওয়াফের সময় যে
দোয়াটি বেশি পড়া হয় তা হলো:
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا
عَذَابَ النَّارِ
উচ্চারণ: রব্বানা আ-তিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাওঁ, ওয়াফিল আখিরাতি
হাসানাতাওঁ, ওয়াকিনা আজাবান্নার।
অর্থ: হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দান করুন,
আখিরাতে কল্যাণ দান করুন এবং জাহান্নামের আজাব থেকে রক্ষা করুন। (সূরা
বাকারা, আয়াত: ২০১)
কাবা তাওয়াফের ফজিলত সম্পর্কে ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.)
বলেছেন, বাইতুল্লাহর চারদিকে তাওয়াফ করা নামাজ আদায়ের অনুরূপ। তবে তোমরা এতে
(তাওয়াফকালে) কথা বলতে পারো। সুতরাং তাওয়াফকালে যে ব্যক্তি কথা বলে সে যেন
ভালো কথা বলে। (তিরমিজি, হাদিস: ৯৬০)
এছাড়া হাজরে আসওয়াদ অতিক্রমের সময় তাকবির দিতেন নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম। (সহিহ বুখারী, ৪৯৮৭)
তবে তাওয়াফের সময় যেকোনো দোয়া, যিকির বা কুরআন তিলাওয়াত করা যায়। যেমন:
- সুবহানাল্লাহ
- আলহামদুলিল্লাহ
- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ
- আল্লাহু আকবার
তাওয়াফের সময় নিজের ভাষায় অন্তরের অনুভূতি অনুযায়ী দোয়া করা উত্তম, যা
আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য।
তাওয়াফের পরবর্তী আমল:
সাত চক্কর সম্পন্ন করার পর, মাকামে ইব্রাহিমের পেছনে দুই রাকাত নামাজ আদায়
করা সুন্নত। এরপর যমযমের পানি পান করে সাফা-মারওয়া সাঈ সম্পন্ন করা হয়।