Skip to main content
 
 

কাবা ঘরের ইতিহাস

কাবা ঘর নিয়ে বিশ্ব মুসলিমের মনে ভিন্ন এক আবেগ কাজ করে সব সময়। কাবা ঘরের ইতিহাস জানতে মুখিয়ে তারা। কীভাবে কাবা ঘর প্রতিষ্ঠিত হল এবং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ালা কার মাধ্যমে এ ঘর প্রতিষ্ঠা করলেন; কেনই বা এ ঘর প্রতিষ্ঠার আলোচনায় ইবরাহিম ও ইসমাইল (আ.) এর আলোচনা কুরআনে আসলো? যখনই এসব আলোচনা করা হয়, মনযোগ দিয়ে শোনেন সব বয়সী ও সকল শ্রেণির মুসলিম।

সর্বপ্রথম আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ালা ফেরেশতাদের দিয়ে কাবা ঘর নির্মাণ করিয়ে নিয়েছিলেন। এরপর আদম (আ.)কে দিয়ে পুনঃনির্মাণ করিয়েছেন। নুহ (আ.) এর সময়ের বন্যার কারণে কাবা ঘর বালুর নিচে চাপা পড়ে যায়। তখন আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে ইবরাহিম ও ইসমাইল (আ.) কাবা ঘর পুনঃনির্মাণ করেন। কাবা ঘরের বিস্তারিত ইতিহাস জানতে চোখ রাখুন নিচে:

কাবা নির্মাণ ও আদম (আ.) প্রসঙ্গ

কাবা ঘরের ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল, আল্লাহ তায়ালা প্রথম কার মাধ্যমে কাবা নির্মাণ করিয়ে নিয়েছেন? উত্তর হল, আল্লাহ তায়ালা ফেরেশতাদের মাধ্যমে প্রথম কাবা নির্মাণ করিয়ে নিয়েছেন। এরপর ফেরেশতাদের এ ঘর তাওয়াফ করার আদেশ দিয়েছেন। পরবর্তীতে আদম (আ.) কে জান্নাত থেকে দুনিয়ার পাঠানোর পর তাঁকে আল্লাহ এ ঘর পুনঃনির্মাণের আদেশ দেন।

এটা হল পৃথিবীর প্রথম ঘর। এ সম্পর্কে কুরআনে বলা হয়েছে, নিশ্চয় প্রথম ঘর যা মানুষের জন্য নির্মিত হয়েছে, এর নাম হল বাক্কাহ। বর্তমানে বিশ্ব মুসলিমের কাছে এটা মক্কা হিসেবে পরিচিত।

নুহ (আ.) এর বন্যা ও কাবা ঘর পুনঃনির্মাণ

কাবা ঘরের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল, ফেরেশতা ও আদম (আ.) কাবা ঘর নির্মাণ ও পুনঃনির্মাণ করলে পবিত্র কুরআনে ইবরাহিম ও ইসমাইল (আ.) এর নাম উল্লেখ করা হল কেন? উত্তর হল, আল্লাহ কার নাম কুরআনে উল্লেখ করবেন এবং করবেন না, তা কেবল তাঁরই এখতিয়ার। আল্লাহ চেয়েছেন তাই ফেরেশতা ও আদম (আ.) এর কাবা ঘর নির্মাণ ও পুনঃনির্মাণের বিষয়টা কুরআনে আনেননি।

নুহ (আ.) এর সময়ে আল্লাহ শাস্তি হিসেবে ভয়াবহ বন্যা দিয়েছিলেন। এ বন্যায় কাবা ঘরও ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং বালুর নিচে চাপা পড়ে যায়। তাই আল্লাহ ইবরাহিম ও ইসমাইল (আ.) কে নির্দেশ দেন এটি পুনঃনির্মাণের। আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী ইবরাহিম ও ইসমাইল (আ.) কাবা ঘর পুনঃনির্মাণ করেন।

প্রাক ইসলামী যুগ

ইসলাম আবির্ভাবের পূর্বে কাবা ঘর নানান কারণেই বিভিন্ন আরব গোষ্ঠীর কেন্দ্রস্থল এবং গুরুত্বপূর্ণ উপাসনালয় ছিল। কাবা ঘরের ভেতরে অনেকগুলো মূর্তি ছিল। তাই সে সময়ও মুশরিকরা কাবা ঘর যেত, সেখানে উপাসনা এবং তা প্রদিক্ষণ করত। নির্মাণের পর থেকেই কাবা ঘর মুসলিম-অমুসলিম সকলের কাছে পবিত্র ও তীর্থস্থান হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে।

ইসলাম পরবর্তী সময়

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর আদেশে মক্কায় ইসলামের দাওয়াত প্রচার করতে শুরু করলেন। অনেক মানুষ (সাহাবা) ইসলামের ছায়াতলে আসতে শুরু করলেন। মক্কার মুশরিকরা ইসলামের উত্থান সহ্য করতে পারল না। তারা নবি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ও সাহাবাদের ওপর নির্যাতন শুরু করল।

নির্যাতন থেকে পরিত্রাণ পেতে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম) ও সাহাবয়ে কেরাম মদিনায় হিজরত করেন। এরপর ধীরে ধীরে ইসলাম ছড়িয়ে পড়তে থাকে এবং মুসলিমদের সংখ্যাও বৃদ্ধি পায়। ৮ম হিজরিতে মুসলিমগণ মক্কা বিজয় করেন এবং কাবা ঘর থেকে মূর্তি অপসারণ করে সেখানে মুসলিমদের ইবাদতের সুযোগ করে দেন।

হাজরে আসওয়াদ (কালো পাথর)

কাবা ঘরের ইতিহাসের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ জিজ্ঞাসা হল, হাজরে আসওয়াদ বা কালো পাথর কোত্থেকে এলো? এ নিয়ে দুটি মত রয়েছে-

১- কেউ বলেন আদম (আ.) জান্নাত থেকে এ পাথর নিয়ে এসেছেন। এটি জান্নাতি পাথর।

২- কেউ বলেন, জিবরাইল (আ.) ইবরাহিম (আ.) কে এ পাথর দিয়েছিলেন।

হাজরে আসওয়াদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পাথর এবং তাওয়াফের অংশ। হজ ও উমরায় তাওয়াফের সময় সরাসারি বা ইশারায় এ পাথর চুম্বন করতে হয়। বর্তমানে পাথরটি কাবা ঘরের পূর্বকোণে স্থাপিত রয়েছে।

অনন্য স্থাপত্য নিদর্শন

কাবা ঘরের ইতিহাসে দেখা যায়, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে কাবা ঘর পুনঃনির্মাণ করা হয়েছে। কাবা ঘরের বর্তমান যে রূপ, এটি বিশ্বের সেরা স্থাপত্য নিদর্শন। বিশ্বে এর বিকল্প চমৎকার কোনো স্থাপত্য নিদর্শন এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি।

ঘনকাকৃতির এ ঘর কালো চাদর (গিলাফ) দিয়ে আবৃত থাকে। এ গিলাফকে বলা হয় কিসওয়াহ। প্রতিবছর এ চাদর পরিবর্তন করা হয়। সৌদি কর্তৃপক্ষের আমন্ত্রণে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ইসলামিক ব্যক্তিত্বরা এ গিলাফ পরিবর্তন করে থাকেন।

হজ ও উমরা

মক্কা বিজয়ের পর থেকে বিশ্বের মুসলিমরা নিয়মিত কাবা ঘরে আসছেন এবং উমরাহ করছেন। হজের সময়ে হাজি সাহেবরা মক্কায় আসেন, কাবা ঘরের তাওয়াফ করেন এবং হজ করে থাকেন। সাদা ইহরামের কাপড় পরে বিশ্ব মুসলিমরা এ ঘরের তাওয়াফ করে সারা বিশ্বকে নিজেদের ঐক্যের এবং সমতার বার্তা প্রদান করে থাকেন।

হজ সামর্থবানদের জন্য ফরয হলেও উমরা হল নফল ইবাদত। নফল ইবাদত হলেও উমরাহর অনেক গুরুত্ব রয়েছে ইসলামে। তাই জীবনে অন্তত একবার হলেও মুসলিমদের উমরাহ করা উচিৎ।

সারাংশ

হলি হজ ও উমরা বাংলাদেশের শীর্ষ হজ ও উমরাহ অ্যাজেন্সি। এ অ্যাজেন্সি বাংলাদেশের হাজি সাহেবদের নানান ধরনের হজ উমরাহ প্যাকেজ অফার করে থাকে। আপনি যদি নিশ্চিন্তে, সহজে এবং যথাযথ নিয়মে উমরাহ বা হজ পালন করতে চান, তাহলে এই অ্যাজেন্সির সঙ্গে আজই 01844-509199 যোগাযোগ করুন।

কল করুন
Our Affiliations ( Flight )
  • kuwait
  • emirates
  • saudia
  • biman
  • qatar
  • Air Arabia Logo
Our Affiliations ( Hotels )
  • raffles
  • inter continental
  • conrad
  • hilton
  • sahaza
  • Hyatt logo